7 MINDSET YOU SHOULD HAVE TO BE SUCCESSFUL IN INTERNET MARKETINGআমাদের সাফল্য এবং ব্যর্থতার জন্য প্রাথমিকভাবে যার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি থাকে তা হল আমাদের Mindset. শুধু পেশাগতভাবে নয়, পড়াশোনা খেলাধূলা শিল্প সবক্ষেত্রেই একজনের সাফল্যের প্রাথমিক শর্তই হচ্ছে তার উপযুক্ত mindset. একজন লেখক বড় লেখক হয়ে ওঠেন তখনই, যখন লেখার শুরুতেই তিনি লেখক হিসেবে মানসিক প্রস্তুতিটা সেরে ফেলেন। একজন ব্যক্তি নিজের যোগ্যতায় ধনী হয়ে ওঠেন কারণ তিনি তার মানসিক গঠনটা সেভাবেই বানিয়ে ফেলেছেন। আপনার নিজের জীবনে যে যে কাজ আপনি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পেরেছেন, ভেবে দেখুন তার সব কটার শুরুতেই আপনার মানসিক প্রস্তুতি সঠিক ছিল। তারপরে আপনার পরিশ্রম আর নিষ্ঠা আপনাকে আপনার অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছে। শুধু সাফল্যই নয়, আপনার সাফল্যে আপনি কতটা সুখী হবেন তাও বহুলাংশে নির্ভর করে আপনি সেই সাফল্যের সাথে নিজের মানসিক গঠনকে কতটা মেলাতে পেরেছেন তার উপরে। Internet Jobs and Mindset ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে কোনো কাজই আপনি করুন না কেন আপনার মনে কতগুলি বিষয় প্রথমেই প্রবেশ করিয়ে নিতে হবে। প্রবেশ করিয়ে নেওয়ার পর নিজেকে বিচার করে নিতে হবে আপনি এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে পেশা দুটোই যেন দুজনের জন্য উপযুক্ত হয়। তারপরে অগ্রসর হওয়া উচিত হবে। একদম প্রথমে যে জিনিসটি আপনার বোঝা দরকার সেটি হল ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি যেই কাজই করুন সেটি আপনার পেশা, চাকুরী নয়। যে কোন পেশাই এক ধরনের ব্যবসা আর একটি ব্যবসা পরিচালনার প্রাথমিক শর্তই হলো নিজের কাজকে ভালোবাসা। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আয় করার নানা পথ আছে, তার মধ্যে থেকে যেকোনো একটি আপনাকে বেছে নিতে হবে আর বেছে নেওয়ার পর সেই পেশাটির প্রতি আপনার আনুগত্য এবং ভালোবাসা বাড়িয়ে ফেলতে হবে । এটি আপনার পেশা আপনার ব্যবসা কাজেই এর সাফল্য ব্যর্থতা উভয়রই দায় আপনার। সেই দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজটা শুরু করুন প্রত্যেক কাজের কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকে সেগুলির রপ্ত করুন। সুখের খবর আপনাকে নতুন করে কিছু বানাতে বা তৈরী করতে হচ্ছে না, যারা সফল হয়েছেন তাদেরকে অনুসরণ করুন অর্থাৎ তাদের কাজকে অনুসরণ করুন। দ্বিতীয় হল দায়িত্ববোধ একজন ভাল ব্যবসায়ীর আরও কতগুলি গুণ থাকে। কর্তব্যনিষ্ঠা, সময়ানুবর্তিতা, সততা ইত্যাদি। এগুলো সব কটি আপনাকেও মেনে চলতে হবে। আপনাকে দায়িত্ব নিতে হবে। আপনি যদি এমন প্রকৃতির মানুষ হন যাকে সামনে দাঁড়িয়ে কেউ বকাবকি না করলে কাজ করতে পারেন না তাহলে এই কাজ কিন্তু আপনার জন্য নয়। যা কিছু তা আপনাকেই করতে হবে কেউ অনুপ্রাণিত করবে না বা কেউ বকাবকি করবে না। তৃতীয় কম্পিউটারের সামনে বসার ধৈর্য্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে আয়ের পেশা আপনি বেছে নিচ্ছেন, সে আপনার পূর্ণ সময়ের জন্যই হোক বা আংশিক সময়ের জন্যই হোক। মনে রাখবেন ইন্টারনেট মানে তার সাথে কম্পিউটার যুক্ত। কাজেই সপ্তাহে কিছু সময় আপনাকে কম্পিউটারের সামনে বসতেই হবে । অনেকেই আছেন যারা কম্পিউটারের সামনে অনেক্ষণ বসে থাকতে পারেন না। আপনি যদি তাদের মধ্যে একজন হন তবে এই কাজ আপনার জন্য নয়। সারাদিন আপনাকে কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতে হবে না। যারা খুব বড় আকারের কাজ করেন এবং এটি তাদের পূর্ণ সময় পেশা তারাও কেউ দিনে 5/6 ঘন্টার বেশি কম্পিউটারের সামনে বসেন না। আপনাকে হয়ত তার থেকে অনেক কম সময় বসতে হবে এবং সপ্তাহে রোজ না বসলেও চলবে কিন্তু কিছুটা সময় আপনাকে কম্পিউটারের সামনে বসতেই হবে ।না হলে এই ব্যবসায় সাফল্য আপনি পাবেন না। চতুর্থ ( Marketing Aptitude) একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় একটু ভাল করে বুঝে নেওয়া দরকার । ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে ভাবেই আপনি আয় করতে চান না কেন আপনাকে কিন্তু আরও অনেকের সঙ্গে প্রতিযোগীতাায় নামতে হবে আর প্রতিযোগীতায় টিকে থাকার মূলমন্ত্র হচ্ছে কতটা ভালভাবে আপনি নিজেকে সামনে নিয়ে আসতে পারবেন অর্থাৎ আপনি বা আপনার প্রোডাক্ট আপনার ওয়েবসাইটকে কত ভালোভাবে আপনি মানুষজনের কাছে পৌঁছে দিতে পারছেন। আপনার মধ্যে একটা marketing aptitude থাকতে হবে, অর্থাৎ নিজের মধ্যে নিজেকে তুলে ধরার একটা ইচ্ছা বা প্রবণতা না থাকলে আপনি সফল হবেন না । সে প্রবণতা যদি আপনার এই মুহূর্তে নাও থাকে তা শিখে দেওয়া যায়। কিন্তু কিছু মানুষ আছে যাদের এই marketing বিষয়টিতেই বিড়াট বৈরাগ্য আছে, তা যদি থাকে তবে নিশ্চিত থাকুন এ ধরনের কাজ আপনার জন্য নয়। আপনি নিজেকে, নিজের প্রডাক্টকে তুলে ধরার পদ্ধতি জানুন বা না জানুন ইচ্ছেটা অন্ততঃ থাকতে হবে। পঞ্চম বিষয়টি হলো বিনিয়োগের মানসিকতা খুব কম পুঁজিতে প্রায় বিনা পুঁজিতে এই ব্যবসা শুরু করা যায়। যেমন এটি বিড়াট সুবিধা আবার কম পুঁজির ব্যবসা এক বিড়াট অসুবিধাও বটে। যেহেতু investment কম, risk কম ফলে সম্ভাবনা থেকে যায় ব্যবসার প্রতি মনোযোগ কমে যাবার। তাই প্রথম থেকেই এই বিষয়টি আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে আপনার সময়ও কিন্তু আপনার বিনিয়োগ। সময় বিনিয়োগ কে আমরা কেউ গুরুত্ব দিই না ,কিন্তু শুরুতেই আপনাকে ভেবে নিতে হবে যে পরিমাণ অর্থ এবং সময় আপনি ব্যয় করুন না দুটোই আপনার জন্য অমূল্য। আবার কম হলেও সময় সময় আপনার অর্থ বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়তে পারে।অনেক বড় আকারের বিনিয়োগ নয় কিন্তু বিনিয়োগ করার মতো মানসিক প্রস্তুতি রাখুন। সঠিক পথে বিনিয়োগ করে দেখে নিন, বিনিয়োগের মাধ্যমে আয় কত বাড়ছে সেই হিসাবে পরবর্তীকালে বিনিয়োগ করবেন। আমি শুধু একথা বলতে চাইছি বিনিয়োগ প্রয়োজন হোক বা না হোক তা বেশি হোক বা কম হোক কিন্তু মানসিক প্রস্তুতি রাখুন। আপনার কাজ শুরু করার পর বুঝতে পারবেন এ কথার গুরুত্ব কতটা। ষষ্ঠ যে জিনিসটি বলব সেটি হল ধৈর্য্য রাখার মানসিকতা। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আয় অনেক বেশি সহজ কিন্তু তা কখনোই লটারি নয়। আপনি রাতারাতি বড়লোক হয়ে যাবেন না। আপনাকে কিছু না কিছু কাজ করতেই হবে। বিনিয়োগ করতে পারলে কাজ একটু কমবে না করতে পারলে বেশি কাজ করতে হবে। কাজ কিন্তু করতেই হবে। কোন কাজটি করবেন আগে ভাল করে ভেবে নিন । রোজ রোজ কাজ পরিবর্তন করবেন না। যেহেতু অনেক ধরনের কাজের সুযোগ আছে ইন্টারনেটে তাই এখান থেকে ওখানে shift করে চলে যাওয়ার প্রবণতাও থেকে যায়। এটি কখনোই করবেন না একান্ত বাধ্য না হলে । সর্বশেষ আর সপ্তমে আমি বলব প্রতিদিন শেখার চেষ্টা করুন। যত শিখবেন জানবেন তত সফল হবেন। কম্পিউটার আর টেকনোলজি প্রতিদিন পরিবর্তিত হচ্ছে আজকে যা আধুনিক কাল তা obsolete হয়ে যাচ্ছে। আপনি যদি প্রতিদিন এই ইমপ্রুভমেন্ট এর সাথে নিজেকে শিক্ষিত না করে তোলেন তাহলে কিন্তু আপনি পিছিয়ে যাবেন। সঠিক ব্যক্তির কাছ থেকে শিখবেন তাতে কিছু অর্থ যদি খরচও হয় অনেক পয়সা এবং সময় অপচয় থেকে বেঁচে যাবে।
3 Comments
|
OPPORTUNITY!(90% Automated System!) Archives
January 2020
Category |
Copyright © 2023 NetbizSystem - All Rights Reserved.